ব্রিটেনে বর্তমানে দু’টি টিকার প্রয়োগ চলছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ডে ছয় সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির পাঁচ কোটি ৬০ লাখ লোকের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘোষণা দেন। লকডাউনকালে স্কুলগুলোও বন্ধ থাকবে।
এদিকে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শিগগীরই অচলাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এক টেলিভিশন ভাষণে জনসন করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মধ্য ফেব্রুয়ারি নাগাদ সব অগ্রাধিকার গ্রুপগুলো টিকা পেয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া লকডাউন মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। জীবন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনে এ লকডাউন জারি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জনসনের ওপর বিজ্ঞানী, এমনকি বিরোধী দলেরও চাপ ছিল। এছাড়া জরুরি পদক্ষেপ না নিলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চাপে স্বাস্থ্য সেবা খাত ২১ দিনের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল।
দেশটিতে ৪ জানুয়ারি ২৬ হাজার ৬২৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, যা এক সপ্তাহ আগের একইদিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রতিদিন ৫০ হাজারেরও বেশি করে লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
ব্রিটেনে বর্তমানে দু’টি টিকার প্রয়োগ চলছে। একটি ফাইজার/বায়োএনটেকের এবং অপরটি অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রোজেনকার টিকা।
সূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন