উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে পূর্বে স্থানান্তরিত হওয়া ৩,৪১৪ জন রোহিঙ্গা চমৎকার মানিয়ে নিয়েছেন নতুন পরিবেশের সাথে
সরকার জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় ব্যাচ কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছে বলে একাধিক সূত্র ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তচ্যুত প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গার একটি দলকে তৃতীয় ব্যাচ হিসেবে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভাসানচর নোয়াখালীতে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসোপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরের ৪ এবং ২৯ তারিখে দুই ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৪১৪ জন রোহিঙ্গাকে দ্বীপটিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানান্তরের সম্ভাব্য তারিখ এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার ভিত্তিক উদ্বাস্তু, ত্রাণ এবং পুনঃপ্রত্যাবর্তন বিষয়ক কমিশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
‘‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিছু কাজ ধীরে সুস্থে করাই ভালো‘’, বলেন অতিরিক্ত কমিশনার জনাব শামসুদ্দোজা । তিনি আরও তথ্যের জন্য প্রতিবেদককে উচ্চতর মহলে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
বিগত দুইটি ধাপের স্থানান্তর করণের কাজও অনাড়ম্বরভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শামসুদ্দোজা বলেন, স্থানান্তরিত হওয়া রোহিঙ্গারা বেশ ভালো আছেন নতুন তাদের আবসস্থলে।
ভাসানচর প্রজেক্টের পরিচালক, কমোডর এ এ মামুন চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, ‘’হ্যা, তৃতীয় ব্যাচের স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু পরিবহণের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব আমাদের উপর ন্যস্ত। তাই তারা ( দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ উদ্বাস্তু, ত্রাণ এবং পুনঃপ্রত্যাবর্তন বিষয়ক কমিশন অফিস) আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কখন স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা যথোপযুক্ত হবে?’’
‘’আমরা তাদেরকে জানুয়ারির ২৪ এবং ২৮ এর মধ্যে একটি সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছি। প্রায় ২ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করা হবে এই ব্যাচে’’, তিনি বলেন।
আরও দু’টি সূত্র থেকে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন