চার অর্ধশতকের সুবাদে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। দুই দলই মাঠে নামে দুইটি করে পরিবর্তন নিয়ে। বাংলাদেশের একাদশে হাসান মাহমুদ ও রুবেল হোসেনের বদলে মাঠে নামেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।
সিরিজে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আলজারি জোসেফের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লিটন কুমার দাস। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালাকে সাথে নিয়ে ৩৭ রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই ম্যাচে রান না পাওয়া শান্ত এ ম্যাচে থিতু হলেও স্কোর বড় করতে পারেননি।
Also Read – প্রোটিয়া সিরিজ আমার ভাগ্য নির্ধারণ করবে না : মিসবাহ
৩০ বলে ২০ রান করে কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এরপর দলের হাল ধরেন তামিম ও সাকিব আল হাসান। রানের গতি ছিল উইন্ডিজ বোলারদের নিয়ন্ত্রণে। ১১ তম ওভার থেকে ২৪ তম ওভার পর্যন্ত হয়নি কোনো বাউন্ডারি।
ক্যারিয়ারের ৪৯তম অর্ধশতক তুলে নেন তামিম ইকবাল। তামিম-সাকিবের জুটি ভাঙেন আলজারি জোসেফ। জোসেফের ফাঁদে পা দেন তামিম, শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৮০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন তিনি। দলের রানের গতি বাড়ানোর দিকে নজর দেন সাকিব-মুশফিক। কিন্তু তাদের জুটি বড় হতে দেননি রেমন রেইফার। এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে সাকিবকে বিভ্রান্ত করেন তিনি। বোল্ড হওয়ার আগে সাকিব তুলে নেন ৪৮তম অর্ধশতক। ৮১ বলে মোকাবেলা করে ৫১ রান করেন তিনি।

অপর প্রান্তে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের পুঁজি যত সম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। ৪৪ তম ওভারে এসে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৯ তম অর্ধশতকে পৌঁছান মুশফিক। মুশফিককে থামান রেইফার। ৫৫ বলে ৬৪ রান করে মুশফিক ক্যাচ দেন জোসেফের হাতে।
বেশ কার্যকরী ব্যাটিং করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের পর তিনি জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকারের সাথে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ অর্ধশতক হাঁকানো ব্যাটসম্যান হন রিয়াদ। শেষ ওভারে রান আউট হন সৌম্য। ৮ বল খেলে ৭ রান করেন তিনি।