টেস্টের যে পরিসংখ্যানে জিম্বাবুয়ের চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ
রসিকতা করে অনেকে বলেন- টেস্ট ক্রিকেটে এখনো হামাগুড়ি দিচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের কথার বিরোধিতা করার পাকাপোক্ত অবস্থান নেওয়াটাও কঠিন। কারণ, টেস্টের কিছু পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ এখনো তলানিতেই পড়ে আছে।

এমনই এক পরিসংখ্যান বিগত ৬ বছরের পেস বোলিং গড়। ২০১৫ সাল থেকে পেস বোলারদের গড়ে বাংলাদেশ আছে জিম্বাবুয়েরও নিচে, অর্থাৎ সবার শেষে। কমপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলা দলগুলোর এই পরিসংখ্যানে সবার শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের বোলার মত সাফল্য নেই বললেন চলে। বিদেশের মাটিতে বোলাররা পান না দৃশ্যত সাফল্য, আর দেশের মাটিতে খেলা হলে বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেন স্পিনাররাই। যার কারণে রাহী, এবাদতদের বোলিং গড়টাও ম্লান। ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পেস বোলিং গড় ৫৪.৮৩, যা জিম্বাবুয়ের চেয়েও বেশি।
Also Read – আমি একজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হতে চাই : রশিদ
এই সময়ে বাংলাদেশের পেসাররা খেলেছেন ৩১টি টেস্ট, উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১০০টি। জিম্বাবুয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেই ৬৮টি উইকেট পেসারদের ঝুলিতে পুরেছে। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে ২৮টি টেস্ট বেশি খেলেছে। কিন্তু তাদের উইকেট বাংলাদেশের চেয়ে ৩০০টি বেশি!
সবার উপরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য শ্রীলঙ্কার চেয়েও কম ম্যাচ খেলেছে। ৫২ টেস্ট খেলে দলটির ৬৪৮ উইকেট শিকার করেছেন পেসাররা। তাদের বোলিং গড় ২৪.১৯। লজ্জার এই রেকর্ডে উপমহাদেশের দল ভারতকে দেখেও শেখার চেষ্টা করতে পারে বাংলাদেশ। ৬০ ম্যাচে ৫২১ উইকেট নেওয়া ভারতের পেস বোলিং গড় ২৫.৬৭। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের গড়ও ৩০-এর নিচে।
একনজরে সেরা পেস বোলিং গড় (২০১৫ সাল থেকে কমপক্ষে ১০ টেস্ট খেলা দল)
দল | ম্যাচ | উইকেট | গড় |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫২ | ৬৪৮ | ২৪.১৯ |
ভারত | ৬০ | ৫২১ | ২৫.৬৭ |
অস্ট্রেলিয়া | ৬২ | ৭৩৬ | ২৬.৮০ |
ইংল্যান্ড | ৭৮ | ৯৩১ | ২৭.৪৪ |
নিউজিল্যান্ড | ৪৮ | ৬৫০ | ২৮.৬৭ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৪৮ | ৪৩১ | ৩১.৫০ |
পাকিস্তান | ৪৬ | ৪০৪ | ৩২.৭৮ |
শ্রীলঙ্কা | ৫৯ | ৪০০ | ৩৫.৮৮ |
জিম্বাবুয়ে | ১৩ | ৬৮ | ৪৪.৯৮ |
বাংলাদেশ | ৩১ | ১০০ | ৫৪.৮৩ |