জাইকার অর্থায়নে সাগরিকায় বিশ্বমানের ইনডোর
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয় ২০০৬ সালে। এরপর অবশ্য এই স্টেডিয়ামে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। ১৯টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে এবং ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়েছে সাগরিকায়। চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামের বাইরেই ক্রিকেটারদের জন্য একটি ইনডোর স্টেডিয়াম ছিল। সেটি ভেঙ্গে নতুন ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মান করা হচ্ছে। তাতে বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উপযোগিতা।
জাপানের সহযোগী প্রতিযোগিতা জাইকার অর্থায়নে নির্মান করা হচ্ছে এই ইনডোর। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আধীনে এই নির্মান কাজ পরিচালনা হচ্ছে না, কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর দায়িত্ব নিচ্ছে না। জাইকা সরাসরি নিজেদের অর্থায়নে এটি নির্মান করে দিচ্ছে। এর একটি কারণও রয়েছে।
Also Read – টেস্টের যে পরিসংখ্যানে জিম্বাবুয়ের চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ
বন্দরের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি ফ্লাইওভার নির্মান করা হচ্ছে, যাতে করে দ্রুত পণ্য আনা-নেওয়া করা যায়। আর এই ফ্লাইওভার নির্মানের জন্য জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে ইনডোর স্টেডিয়ামটি ভাঙ্গার প্রয়োজন পড়ে। ইতিমধ্যে সেটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেজন্যই জাইকা নিজ অর্থায়নে স্টেডিয়ামের উত্তরপাশে ফাঁকা জায়গায় নতুন ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মান করে দিচ্ছে।
স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বেশ খুশি নতুন ইনডোর পেয়ে। ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান বিডিক্রিকটাইমকে জানিয়েছেন, পুরাতন ইনডোর ভাঙ্গায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে দিতেই সুযোগ বাড়িয়ে নতুন ইনডোর নির্মান করে দিচ্ছে জাইকা। যা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান, অনেকটা অংশের কাজ হয়ে গেছে।
ভেন্যু ম্যানেজার বলেন, ‘ইনডোরের কাজ কবে শেষ হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। জাইকার প্রজেক্ট এটা। এটা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ক্রীড়া পরিষদ করছে না। আন্তর্জাতিক আর্কিটেক্ট দ্বারা এটার কাজ করা হচ্ছে। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটার ক্ষতিপূরণ আমরা নেই নাই। তবে আগের পুরনো ইনডোর ভাঙ্গতে হয়েছে বিধায় সেটার পরিবর্তে এটা নির্মান করে দিচ্ছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। আগে তিনটা উইকেট বসতো এখন চারটা উইকেট বসবে। আগের চেয়ে দ্বিগুণ জায়াগা নিয়ে এটা করা হচ্ছে।’
পুরনো ইনডোরের চাইতে বহুগুনে এগিয়ে তৈরি করা হবে নতুন ইনডোর, এমটাই প্রত্যাশা স্টেডিয়াম সংশ্লিষ্টদের।