টেস্ট ফরম্যাটের মর্ম ক্রিকেটারদের বোঝানো বড় চ্যালেঞ্জ : ডমিঙ্গো
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টেস্টের প্রতি বিসিবি এবং ক্রিকেটারদের আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও বলছেন টেস্টের মর্ম ক্রিকেটারদের বুঝতে পারাটা বড় চ্যালেঞ্জ।
টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নতি করতে হবে- এটি চির সত্য বাক্য। বিসিবি গত কয়েক বছর ধরেই টেস্টের অবকাঠামো পরিবর্তনের আভাস দিলেও সেসব বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে টেস্টে হারের পরও টনক নড়েনি বিসিবি এবং ক্রিকেটারদের।
Also Read – কোচ হিসেবে সাকিবের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে : ডমিঙ্গো
তবে সম্প্রতি ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের কাছে টেস্ট সিরিজ হারার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনীহা থাকা ক্রিকেটারদের এই ফরম্যাটে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যারিবীয়দের কাছে হারের পর সবারই চোখ খুলেছে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো।
“আমি জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ হারের পর অনেক হতাশ সবাই। তবে টেস্টে কতোটা পিছিয়ে পড়েছি, সেটা দেখিয়ে দিয়েছে এটি। ছেলেরা বলবে যে হয়তো তারা অতীতে জিতেছে, তবে সেগুলো বিচ্ছিন্ন। এখনও তারা মেজর কোনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি। টেস্টে এখনও অনেক কাজ বাকি। কোচ এবং ম্যানেজেমন্টের অংশ হিসেবে এ উন্নতিটিকে আমি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখি। আমার কাছে এটিই এক নম্বর ফরম্যাট, তবে ক্রিকেটারদেরকে সেটা বোঝানো সবচেয়ে বড় ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচের মর্ম বুঝতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটারদের।”
টেস্ট ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের স্কিল পরীক্ষা করার সবচেয়ে বড় জায়গা। গুটি কয়েক ক্রিকেটার ছাড়া সে জায়গায় এখনো যেতে পারেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ডমিঙ্গো এমন কাউকে খুঁজছেন যাদের কি না টেস্টে ভালো করতে ক্ষুধার্ত এবং স্কিল রয়েছে।
“আমাদের টেস্ট দলের সংস্কৃতি বদলাতে হবে। এমন একটা দল তৈরি করতে হবে, যারা টেস্টে ভালো করতে ক্ষুধার্ত, টেস্ট খেলার স্কিল আছে, এবং পাঁচদিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো মনোবল আছে যাদের। এটা আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”