ঘুম আর নেটফ্লিক্স-অ্যামাজন প্রাইমে সময় কাটছে তামিমের
করোনাকালে প্রথম বিদেশ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরুর আগে পালন করতে হচ্ছে কঠোর আইসোলেশন। সুদূর নিউজিল্যান্ড থেকে সেই আইসোলেশনের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
প্রথম ৩ দিন মোটেও বের হওয়ার সুযোগ ছিল ক্রিকেটারদের। প্রথম করোনা পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার পর এখন প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে হাঁটার সুযোগ পান। বাকি সময় কাটে ঘুমিয়ে আর সিনেমা-ওয়েব সিরিজ দেখে। রুমে আবদ্ধ অবস্থায় যেসব অনুশীলন করা যায়, তা-ও চলছে।
Also Read – কিংবদন্তিদের টুর্নামেন্ট যেতে না পারায় হতাশ আফতাব
তামিম বলেন, ‘রুমের মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টাই থাকতে হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আধা ঘণ্টা খোলা বাতাসে যেতে পারি। রুমের মধ্যে সাইক্লিং করার সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কিছু ব্যান্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারি। আমার সময় কাটছে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এসব দেখে। আর ঘুমাই; এছাড়া তো কিছু করার নেই। কারও সাথে দেখাও করতে পারবেন না, কারও রুমেও যেতে পারবেন না। এভাবে করে চলে যাচ্ছে।’
অবশ্য আইসোলেশনের দিনগুলো যেভাবে যাচ্ছে, তামিম তাতে খুব ভীত নন। কারণ আরও কঠিন সময়ের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন কিউইদের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডে এসে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে, অধিনায়ক এখনো অনেক সতীর্থদের সাক্ষাৎ পাননি। হাঁটতে বের হলেও নির্দিষ্ট গ্রুপের সাথে যেতে হয়, সেখানেও মানতে হয় শারীরিক দূরত্ব।
তামিম বলেন, ‘প্রথমবার খোলা বাতাসে গিয়ে একটু আজবই লাগছিলো। ২-৩ দিন রুমের মধ্যে ছিলাম, তারপর হঠাৎ করে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিল। সবার সাথে দেখা করে ভালো লাগলো। মনে হল অনেক বছর পরপর দেখছি একেকজনকে। নিচে যাওয়ার জন্য ৫-৬ জনের একটা গ্রুপ থাকে। এখনো অনেক সতীর্থ আছে যাদের সাথে নিউজিল্যান্ড এসে ৫-৬ দিনেও দেখা হয়নি। একটু চ্যালেঞ্জিং। তবে কেটে যাচ্ছে সময়টা। আমি মনে করেছিলাম আরও কঠিন হবে। আর বেশিদিন নেই।’